মহান স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা,ও দোয়ার আয়োজন করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ সায়েদুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইফুল আলম মানিক কার্যকরী সভাপতি বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে যারা ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তারা ইতিহাসে চিরদিন কলঙ্কিত। জিয়াউর রহমানের মদদে সেদিন এই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। অপরদিকে জিয়া হত্যা করতে চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে আর তার ছেলে তারেক রহমান একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যা করতে চেয়েছিল বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু মহান রাব্বুল আলামিনের ইচ্ছায় সেদিন জন নেত্রী শেখ হাসিনা মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়ে ছিলেন।শেখ হাসিনাকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এজন্যই বাঁচিয়ে রেখেছিলেন যাতে করে বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে পারেন,বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত,দারিদ্র্যমুক্ত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। তিনি চান বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা, যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না। প্রতিটি মানুষ খেয়ে পড়ে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের গাজীপুর মহানগর শাখার আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ খান বলেন,প্রয়াত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাংলাদেশকে কিভাবে দারিদ্র্যমুক্ত একটি স্বপ্নের সোনার বাংলা করা যায় সে বিষয়ে তিনি সারাক্ষণ ভাবতেন । কিন্তু ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে ভূলুণ্ঠিত করে সেদিন নির্মমভাবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে তাকে হত্যা করে। আজিজ খান আরও বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের অনেকের বিচার ইতিমধ্যেই হয়েছে। আরও যারা বাকি রয়েছে তাদেরকে অতি তাড়াতাড়ি আইনের আওতায় এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পিছনে যে সকল কুশীলবরা রয়েছেন তাদেরকেও বিচারের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ১৫ আগস্ট হামলা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের উপর তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। তিনি এই হামলার উপযুক্ত বিচার দাবি করেন সরকারের কাছে। এমন বিচার করতে হবে যাতে করে ভবিষ্যতে আর কেউ এ ধরনের রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর সাহস না পায়।অনুষ্ঠান শেষে গরীব অসহায় দুস্থদের মাঝে ব্যতিক্রমধর্মী ইলিশ বিরিয়ানি খাবার বিতরণ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদদের প্রতি আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের পক্ষ থেকে দোয়া করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক আব্দুল আজিজ খান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন মহানগর আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব আসাদুল কবির।